যশোর-নড়াইল মহাসড়কের কাছে অবস্থিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের এ কাজটি সকলের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছে।
যশোর পৌরসভার সচিব আজমল হোসেন জানান, ২০১৮ সালে ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ প্লান্টটি চালু হয় গতবছরের আগস্ট মাসে।
এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে নগর অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ৩৯ একর জমির ওপর এটি নির্মিত হয়েছে। প্লান্টটিতে প্রতিদিন ৪২ জন শ্রমিক কাজ করেন।
যশোর শহর, উপশহর, ইউনিয়ন ও ক্যান্টনমেন্টের কিছু এলাকা থেকে ময়লা আবর্জনা কম্পোস্ট প্লান্টে জমা হয়। এটির প্রবেশমুখে স্থাপিত ওয়েটিং ব্রিজের উপর দিয়ে ট্রাক নেয়া হয়। এ ব্রিজ ময়লার পরিমাপ করে। ময়লা রাখা হয় সর্টিং প্লাটফর্মে। এ প্লাটফর্ম থেকে ময়লা বাছাই করে কেটে কম্পোস্ট বক্সে দেয়া হয়।
বাছাইকৃত ময়লা আবর্জনা ডিসাইক্লিন করে শুকানোর পর নেটিং করে একটি অংশ দিয়ে সার ও আরেকটি অংশ দিয়ে বায়োগ্যাস তৈরি করা হয়। প্রতিদিন ৫ টন সার তৈরি করে গোডাউনে ও বায়োগ্যাস রাখা হচ্ছে সিলিন্ডারে।
আজমল হোসেন জানান, এ প্লান্ট ব্যবহারের জন্য পৌর এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে কোন ফি গ্রহণ করা হয় না। তবে উপশহর, ইউনিয়ন ও ক্যান্টনমেন্টের কিছু এলাকা থেকে ময়লা দেয়া বাবদ মাসিক হারে ফি নেয়া হয়। ওই টাকা দিয়ে কর্মরত শ্রমিকদের বেতন দেয়া হয়।
তিনি আরও জানান, কম্পোস্ট প্লান্টে উৎপাদিত সার বাজারে বিক্রির জন্য কৃষি অধিদপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। অনুমতি পাওয়ার পর সার বাজারে বিক্রি করা হবে।
পৌর মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু জানান, দেশের বিভিন্ন এলাকাসহ যশোর শহরে যত্রযত্র ময়লা ফেলে পরিবেশ নোংরা করা হতো। ময়লামুক্ত শহর গড়ার লক্ষ্যে ওয়েস্ট ট্রিটমেন্ট এন্ড কম্পোস্ট প্লান্ট নির্মিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এ প্লান্টের উদ্বোধন করেন। এ প্লান্টের বদৌলতে যশোর শহরকে দেশের প্রথম বর্জ্যমুক্ত শহর ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি জানান, দেশের কোথাও এ ধরনের প্লান্ট নেই। তবে ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশে এ ধরনের প্লান্ট আছে।